পোপ-বাটলার রুখে দাঁড়ালেন

                              ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ তৃতীয় টেস্ট

 পোপ-বাটলার রুখে দাঁড়ালেন


হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ১৪ ইনিংস আগে। তারপরও জস বাটলারের ওপর আস্থা রেখেছিলেন ইংলিশ দলপতি জো রুট। গতকাল দলের বিপদের মুখে অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে যেন সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন বাটলার। এতটা লম্বা সময় ধরে না হলেও এ সিরিজে একটাও ভালো ইনিংস খেলতে পারেননি ওলি পোপ। গতকাল তিনিও জ্বলে উঠেছিলেন, ৯১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। আলোর স্বল্পতায় সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় দু'জনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।

বাটলারের এই হাফ সেঞ্চুরি দলের জন্য প্রয়োজন ছিল তো বটেই, তার টেস্ট ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্যও ভীষণ দরকার ছিল। বেশ কিছু দিন ধরেই আতসকাচের নিচে আছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। গত এক বছরে ১২ টেস্টে তার ব্যাটিং গড় মাত্র ২১.২৬। তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগের সংবাদ সম্মেলনেও বাটলারের ফর্ম নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে। এ টেস্টে ব্যর্থ হলেই অবধারিতভাবে তিনি ছিটকে পড়তেন টেস্ট থেকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাকা হতো বেন ফোকসকে। কিন্তু গতকালের দারুণ ইনিংসটিতে যেন বেঁচে গেল তার টেস্ট ক্যারিয়ার। তবে দাপুটে ব্যাটিং করেছেন ওলি পোপ। ২২ বছর বয়সী এ তরুণকে লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে কেন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ মনে করা হয় গতকাল তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ১১টি চারে অপরাজিত ৯১ রান করেছেন। তিনি যে ছন্দে ছিলেন আলোর স্বল্পতার কারণে চার ওভার আগে খেলা বন্ধ না হলে হয়তো গতকালই সেঞ্চুরিটা করে ফেলতেন। নতুন দিনে আবার কোনো অঘটনা না ঘটে!

পোপ-বাটলার যখন জুটি বাঁধেন তখন ভীষণ চাপে ইংল্যান্ড। ১২২ রানে পতন হয়েছে চার উইকেট। প্রথম ওভারেই কেমার রোচের বলে এলবি হয়ে যান আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ডম সিবলে। এরপর সেট হয়েও দুর্ভাগ্যক্রমে রান আউট হয়ে যান জো রুট। গত টেস্টের নায়ক বেন স্টোকসও কিছু করতে পারেননি। কেমার রোচের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান তিনি। আর সকাল থেকে হাল ধরা ওপেনার ররি বার্নস হাফ সেঞ্চুরি করে রোস্টন চেজের স্পিনে স্লিপে কর্নওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। অবাক বিষয় হলো, এ অবস্থায়ও ক্যারিবীয়দের চেপে বসতে দেননি পো ও বাটলার। ওভার পিছু সাড়ে তিনের ওপর রান সংগ্রহ করেন তারা। পঞ্চম উইকেটে তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৩৬ রানের জুটিতে ওই বিপদ কাটিয়ে শক্ত অবস্থানে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট দুই দলের একাদশ নির্বাচনে ছিল বৈপরীত্য। বেন স্টোকস দলে থাকার পরও আরও চারজন পেসার নিয়ে নেমেছে ইংল্যান্ড। ফিরেছেন জেমস অ্যান্ডারসন ও জোফরা আর্চার। তাদের সঙ্গে আছেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস। বাড়তি পেসারকে জায়গা দিতে গিয়ে বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার আলঝারি যোসেফকে বসিয়ে অফস্পিনার রাকিম কর্নওয়ালকে একাদশে নিয়েছে। তাই সফরকারীদের একাদশে তিন পেসার ও দুই স্পিনার।